প্রকাশিত: Mon, Dec 19, 2022 6:40 AM
আপডেট: Wed, Jun 11, 2025 7:26 PM

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তায় ঘাটতি ছিল না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আনিস তপন: আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পিটার ডি হাসের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি পড়েনি। সেখানে আমাদের পুলিশ বাহিনী ছিল। পুলিশ বাহিনী যখনি শুনেছে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেখানে যাচ্ছেন, পুলিশের কর্তব্য হয়ে গিয়েছিল সেখানে যাওয়ার।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন শৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। সভায় দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুল হকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, আপনারা যদি ভিডিওগুলো দেখেন, তাহলে দেখবেন- ওসি পুলিশের পোশাক পরার আগেই সিভিল ড্রেসে দৌঁড়ে গিয়েছিলেন। কাজেই পুলিশ সেখানে চলে গিয়েছিল। সেখানে তার নিরাপত্তার কোনো অভাব ঘটেছে বলে কোনো রিপোর্ট আমার কাছে আসেনি। 

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন- তিনি ওখানে যাচ্ছেন এ তথ্য ফাঁস হলো কীভাবে? সাংবাদিকরা এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমরা জানি না। আমাদের কাছে কোনো তথ্য দেননি। কীভাবে তথ্য ফাঁস হয়েছে, তার ওখান থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে কি না, তা তো আমরা জানি না।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাড়তি নিরাপত্তা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অ্যাম্বাসি পল্লিতে যথেষ্ট সিকিউরিটি রয়েছে। যখন তারা বের হন তখনো আমাদের সিকিউরিটি নিয়ে বের হন। চারটি রাষ্ট্র আছে, যাদের বেশি সিকিউরিটি দেওয়া হয়। তার মধ্যে ইউএসের রাষ্ট্রদূত একজন। কাজেই সেখানে তিনি যখন আসেন আগে-পিছে সিকিউট করেই আসেন। তার সিকিউরিটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠেছে- এমন কোনো কথা আমরা শুনিনি।

আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই এলাকার এমপি। আমি যতটুকু দেখেছি, যতটুকু শুনেছি, উনি যে বাড়িটিতে গিয়েছিরেন, সেই বাড়িটির পাশে আবার কয়েকজন তারা কীভাবে শুনেছে, কীভাবে জেনেছেন, তা আমি জানি না।  তাদের কয়েকজনের একটা দাবি জিয়াউর রহমানের আমলে যাদের বিচারবিহীন হত্যা করা হয়েছিল, ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, তাদের বিচার চেয়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছি। এটুকু আমি শুনেছি। এগুলো সব আমার শোনা কথা।’ সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ